Anti Shoplifting System is a great device for anti theft protection.In Bangladeshi situation, it is a basic part of your product security from thief.

Please, see the details about Anti Shoplifting System in Bangla below :

আসসালামুয়ালাইকুম,

সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি ।যার অসীম দয়ায় এখনও বেঁচে রয়েছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন।

আজকে আপনাদের সামনে আমি এমন একটা সিস্টেম তুলে ধরব যার নাম অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম। আপনি কেন এই সিস্টেম ব্যাবহার করবেন, এটা কিভাবে কাজ করে থাকে, আপনি কি কি সুবিধা পেতে পারেন মুলত এইসব বিষয় নিয়েই আমার আজকের আলোচনা।

তো শুরু করা যাক ............

অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম মুলত ব্যাবহার করা হয় বিভিন্ন দোকান, শো রুম, স্টোর রুম, লাইব্রেরী ইত্যাদিতে । মুলত আপনার প্রোডাক্ট এর চুরি রোধ করতেই এই সিস্টেম এর ব্যাবহার করা হয়।

আপনি কেন এই সিস্টেম ব্যাবহার করবেন ?

ধরুন আপনার দোকান, শো রুম, স্টোর রুম ইত্যাদিতে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট জমা আছে (যেমনঃ শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, টেবিল, চেয়ার, ল্যাপটপ, বই, যে কোন প্যাকেট ইত্যাদি )এবং আপনি প্রতিনিয়ত সেগুলু সেল করেই চলেছেন । ধরুন সেখান থেকে একটা প্রোডাক্ট চুরি হয়ে গেল। তখন আপনার কি কিছু করার থাকবে ? আপনার দামি দামি জিনিসগুলুর নিরাপত্তার জন্নই এই অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম । এই সিস্টেম আপনাকে দেবে প্রোডাক্ট চুরিজনিত নিরাপত্তা। আপনার নির্দেশ ছাড়া কোন প্রোডাক্ট আপনার দোকান, শো রুম, স্টোর রুম থেকে কেউ বের করতে পারবে না। এই সিস্টেম যদি চালু থাকে তবে ১০০০ জন ক্রেতাও যদি আপনার দোকানে একসাথে কেনাকাটার জন্য ঢোকে তবেও আর কোন প্রোডাক্ট চুরি করতে পারবে না। ১০০% গ্যারান্টি ।

আর যদি আপনাকে না জানিয়ে কেউ কোন প্রোডাক্ট নিয়ে চলে জেতে চায় তবে অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম এর অ্যান্টেনায় বিকট শব্দ হতে থাকবে। যার ফলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কোন প্রোডাক্ট চুরি হয়েছে এবং চোর আপনার হাতের কাছেই রয়েছে।

আমাদের এই বাংলাদেশে বড় বড় কিছু কোম্পানি এই সিস্টেম ব্যাবহার করে থাকে। যেগুলুর মাঝে আড়ং (কাপড়ের ব্রান্ড) অন্যতম। আপনি আড়ঙের বের হওয়ার দরজার দিকে দুইটা অ্যান্টেনা দেখতে পাবেন। এই দুই অ্যান্টেনাই হল অ্যান্টিশপলিফটিং সিস্টেম এর একটা পার্ট।

কিভাবে এই সিস্টেম কাজ করে থাকে ?

প্রথমেই অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম এর দুইটা অ্যান্টেনা আপনার দোকান, শো রুম, স্টোর রুম ইত্যাদি থেকে বাহির হওয়ার দরজায় সেট করে দেওয়া হবে। এর নাম অ্যান্টিশপলিফটিং অ্যান্টেনা।

আপনি যখন কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে আপনার দোকান, শো রুম, স্টোর রুম ইত্যাদিতে তুলবেন তখন আপনার সকল প্রোডাক্ট এর গায়ে ১ টা করে ট্যাগ লাগিয়ে দিতে হবে।ট্যাগ লাগানোর পর আপনি আপনার মত করে প্রোডাক্ট সাজিয়ে রাখলেন ।

যখন আপনার কোন প্রোডাক্ট সেল হয়ে যাবে তখন আপনি ট্যাগ টাকে রিমুভ করে দেবেন বা খুলে ফেলবেন। ক্রেতা ওই প্রোডাক্ট নিয়ে অনায়াসেই বেরিয়ে জেতে পারবে আপনার দোকান, শো রুম, স্টোর রুম ইত্যাদি থেকে। আর আপনি যদি ট্যাগ রিমুভ না করেন তাহলে ওই প্রোডাক্ট নিয়ে ক্রেতা দরজা অতিক্রম করার সময়েই অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম এর অ্যান্টেনায় অ্যালার্ম দিতে থাকবে। আর তখনি আপনি বুঝতে পারবেন কোথাও একটা সমস্যা রয়েছে। (মানে আপনার প্রোডাক্ট চুরি হয়েছে এবং চোর আপনার হাতের কাছেই আছে )

টোটাল সিস্টেম সেট আপ করতে জা জা লাগবেঃ

মুলত ৪ টা পার্ট নিয়ে অ্যান্টিশপলিফটিং সিস্টেম কাজ করে থাকে।

০১.অ্যান্টিশপলিফটিং সিস্টেম অ্যান্টেনা = ২ টা

আপনার দোকান, শো রুম, স্টোর রুম ইত্যাদির সামনের দরজার দুইপাশে সেট করতে হবে। এটা আর এফ আই ডি সিস্টেম (RFID System)এ কাজ করবে। মানে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সির মাদ্ধমে কাজ করবে। দূর থেকেই কিছু ডিটেক্ট করতে পারাটাকেই সহজভাবে আমরা আর এফ আই ডি সিস্টেম বুঝি। যেমন অনেকে অফিস এ ঢোকার সময় কার্ড পাঞ্ছ করে প্রবেশ করে থাকে, এটাও একটা আর এফ আই ডি সিস্টেম (RFID System) ।

০২.অ্যান্টিশপলিফটিং সিস্টেম ট্যাগ

অ্যান্টিশপলিফটিং সিস্টেম ট্যাগ হল সেই জিনিশ জা আপনার প্রোডাক্ট এর গায়ে লাগানো থাকবে। কোন ক্রেতা যখন আপনার দোকান থেকে একটা প্রোডাক্ট কিনল ও আপনাকে দাম দিয়ে সে এটার মালিকানা অর্জন করল তখন আপনি ওই প্রোডাক্ট এর গায়ে লাগানো ট্যাগ টা রিমুভ করে দেবেন। তাহলে দরজার সামনের দাড়িয়ে থাকা অ্যান্টেনা কোন সিগনাল দেবে না, মানে আপনার বেবসার নিরাপত্তা ঠিক আছে।

ট্যাগ আবার দুই প্রকার

সফট ট্যাগঃ সাধারনত এই ট্যাগ অনেকটা বারকোড লেবেল এর মত দেখতে । আপনি এই ট্যাগ প্রোডাক্ট এর গায়ে লাগিয়ে রাখতে পারবেন। উল্লেক্ষ, এই ট্যাগ একবারই ব্যাবহার করা যায়। একাধিক বার ব্যাবহার করা না গেলেও এর রয়েছে ব্যাবহারের সুবিধা, দেখতে সুন্দর,কেউ সাধারনত দেখেই বুঝতে পারবে না যে প্রোডাক্ট এর গায়ে ট্যাগ লাগানো আছে। আবার আপনি ইচ্ছা করলে নিজের মত করে এই ট্যাগের গায়ে বিভিন্ন ইনফর্মেশন দিতে পারেন । যেমন আপনার কোম্পানির নাম, প্রোডাক্ট কোড, মডেল নং ইত্যাদি।
হার্ড ট্যাগঃ আপনি হার্ড ট্যাগ বারে বারে পরিবর্তন করে ব্যাবহার করতে পারেন। ধরুন আপনার দোকানের একটা পাঞ্জাবি বিক্রি হওয়ার পরে আপনি সেই ট্যাগ টা খুলে অন্য আরেকটা পাঞ্জাবি তে ব্যাবহার করতে পারবেন। আমার জানামতে এটা টেকসইও করে অনেকদিন।

০৩. ডি অ্যাক্টিভেশন প্যাডঃ সফট ট্যাগ রিমুভ করার জন্য এই প্যাড ব্যাবহার করা হয়।

০৪. ট্যাগ রিমুভার বা ট্যাগ ডিটেচারঃ হার্ড ট্যাগ রিমুভ করার জন্য এই ট্যাগ রিমুভার বা ট্যাগ ডিটেচার ব্যাবহার করা হয়।

ঠিক এভাবেই কাজ করে এই অ্যান্টিশপলিফটিং সিস্টেম ।

বেবহারে ক্ষেত্রঃ

আমাদের এই দেশে সাধারনত শপিং মল,কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস এর দোকান, গহনার দোকান, বিভিন্ন অফিস মোটকথায় যারা তাদের প্রোডাক্ট চুরি নিয়ে সমস্যায় আছেন , তাদের জন্নই এই সিস্টেম উত্তম।

আশা করি আপনাদেরকে কিছু দিতে পেরেছি। ইচ্ছা আছে সামনে আরও কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
বিঃ দ্রঃ এটা আমার তৃতীয় পোস্ট, ভুল গুলু ধরিয়ে দিতে ভুল করবেন না । আর ভাল লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না, কারন কমেন্ট ছাড়া পোস্টের মূল্য বুঝা যায় না । আমি মুলত ব্লগিং করি এই অটোমেশন নিয়ে। কিছুদিন হল ব্লগিং শুরু করলাম। ইচ্ছা করলে ঘুরে আসতে পারেন আমার অটোমেশন ব্লগ থেকে। কোন পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
যদি আপনাদের কারো এই বিষয় আরও কোন প্রশ্ন থাকে জানতে পারেন আমার কাছ থেকে। অটোমেসন এর এই অতি সামান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি জা জানি তা দিয়ে আপনাদেরকে হেল্প করার ইচ্ছা আছে আমার।অটোমেশন রিলেটেড কোন প্রোডাক্ট কেনার দরকার হলে বা সমস্যা হলে আমাদেরকে কল করতে পারেন বা মেইল করতে পারেন ।যথাসম্ভব আপনার সমস্যা অনুযায়ী সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।

আমাদের সাথে যোগাযোগঃ
www.projuktishop.com
Mobile : 01750187287
Facebook : https://www.facebook.com/ProjuktiShop